ঢাকা, মঙ্গলবার, মে ০৭, ২০২৪

সংবাদ শিরোনাম 

জাতীয় সংবাদ : ডেসটিনি অবলুপ্তি প্রশ্নে হাইকোর্ট আদেশ আরো ৪ সপ্তাহ স্থগিত   |   

বাংলাদেশ ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিতে শিক্ষামন্ত্রীর শান্তিনিকেতনে গমন

ঢাকা, ২৪ মে, ২০১৮ (বাসস) : শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ আজ ভারতের পশ্চিমবঙ্গে অবস্থিত শান্তিনিকেতনের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেছেন।
শান্তিনিকেতনের বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্মিত ’বাংলাদেশ ভবন’-এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি যোগ দেবেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামীকাল এ ভবনটি উদ্বোধন করবেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।
শিক্ষামন্ত্রী ’বাংলাদেশ ভবন’-এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানের সার্বিক প্রস্তুতি তদারক করতে অগ্রগামী দলের সদস্য হিসেবে সেখানে গেছেন। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোহরাব হোসাইন এবং শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী দেওয়ান মো. হানজালা গতকাল একই উদ্দেশ্যে শান্তিনিকেতনে গেছেন।
বাংলাদেশ ও ভারতের দীর্ঘদিনের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ধারাবাহিকতায় শান্তি নিকেতনে নির্মিত হয় ’বাংলাদেশ ভবন’। বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে ভবনটি নির্মাণ করেছে ভারতীয় নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ’ন্যাশনাল বিল্ডিং কনস্ট্রাকশন কর্পোরেশন (এনবিসিসি)’।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সার্ধ-শত জন্মবার্ষিকীর স্মারক হিসেবে শান্তিনিকেতনে বাংলাদেশ ভবন নির্মানের ইচ্ছা ব্যক্ত করেন। বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ২০১১ সালের ৬ সেপ্টেম্বর স্বা^ক্ষরিত ’ফ্রেমওয়ার্ক এগ্রিমেন্ট অন কো-অপারেশন ফর ডেভেলপমেন্ট’-এ তাঁর এই আগ্রহ লিখিতরূপে স্থান পায়। এরই ধারাবাহিকতায় ভারতের বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় ও বাংলাদেশের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ২০১৬ সালের শেষভাগে এই ভবনের নির্মান কাজ শুরু করা হয়।
৮ বিঘা সমপরিমাণ প্রায় ২ দশমিক ৭৫ একর জমির উপর এ ভবন নির্মানের জন্য বাংলাদেশের পক্ষে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ৪৩ কোটি ৯২ লাখ টাকা অর্থায়ন করে। ভবনে ৪৫৩ আসনবিশিষ্ট একটি আধুনিক অডিটোরিয়াম, দু’টি সেমিনার হল, গ্রন্থাগার, জাদুঘর, ক্যাফেটোরিয়া ও আর্কাইভ স্টুডিও রয়েছে। অডিটোরিয়ামে আলো ও শব্দের যথাযথ প্রক্ষেপণ সংস্থান করা হয়েছে। অডিটোরিয়ামের ছাদ বাংলাদেশের নৌকার ছৈ-এর আদলে তৈরি। ভবনের নীচতলায় অবস্থিত প্রতিটি ১৬০ আসন বিশিষ্ট ২টি সেমিনার হল। প্রয়োজনে সেমিনার হল দুইটির অন্তর্বর্তী স্লাইডিং ফোল্ডিং পার্টিশন সরিয়ে একটি মাল্টিপারপাস হল হিসেবে পুরো হল ব্যবহার সম্ভব।
ভবনের নীচতলায় দক্ষিণ পার্শ্বে প্রায় ৩ হাজার বর্গফুট বিশিষ্ট একটি জাদুঘর রয়েছে যেখানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বাংলাদেশ ও কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সম্পর্কিত বিষয়াদি প্রদর্শনীর জন্য স্থান পাবে।
ভবনের দোতলায় প্রায় ১৩০০ বর্গফুটের লাইব্রেরি অবস্থিত। এছাড়াও একটি স্টুডিও ও একটি ফ্যাকাল্টি কক্ষের সংস্থান দোতলাতে রয়েছে। দোতলার বামপার্শ্বে প্রায় ১ হাজার বর্গফুটের একটি ক্যাফে আছে। অনুষ্ঠানের দিনে এ ক্যাফে ব্যবহার সম্ভব হবে। ক্যাফের বাইরে খোলা ছাদে বসার ব্যবস্থা রয়েছে।